Wednesday, July 8, 2015

এক্স-রে

এক্স-রে


এক্স-রে কি?
এক্স-রে এক ধরনের তড়িৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ, যা সরলরেখা বা সোজা পথে গমন করে। সাধারণ আলোর জন্য অস্বচ্ছ পদার্থ যেমন কাঠ, পেশী, পোশাক, ইত্যাদির মধ্য দিয়ে এক্স-রে গমন করতে পারে। তবে ক্যান্সার কোষ, ধাতু, হাড় বা এ জাতীয় পদার্থের মধ্য দিয়ে এক্স-রে যেতে পারে না। এক্স-রে -এর এ ধর্মটিই ব্যবহার করা হয় চিকিৎসা বিজ্ঞানে। 
 
যেভাবে কাজ করে
এক্স-রে টিউব থেকে এক্স-রে নির্গত হয়। অপর প্রান্তে এক্স-রে ফিল্ম বা কম্পিউটারাইজড সেন্সর রাখা হয়। এ দুয়ের মাঝে রোগীকে রেখে এক্স-রে চিত্র নেয়া হয়।

 * হাড়, ধাতু বা পাথর জাতীয় বস্তু সাদা ছায়া তৈরি করে।
 * বায়ুপূর্ণ এলাকা কালো ছায়া তৈরি করে।
 * পেশী, চর্বি এবং তরল ধূসর ছায়া তৈরি করে।

ব্যবহার
সাধারণত দূর্ঘটনায় আঘাত পেলে হাড় ভেঙেছে কিনা বা কতটুকু ভেঙেছে সেটা নির্ণয়ে এক্স-রে করা হয়। এছাড়া ক্যান্সার নির্ণয়, পেটে পাথরের অবস্থান নির্ণয় ইত্যাদি ক্ষেত্রে এক্স-রে করা হয়।

প্রস্তুতি
  * শরীরের কোন অংশের এক্স-রে করা হবে তার ওপর নির্ভর করে রোগীকে এক্স-রে টেবিলে রাখা হয়।          পেটের এক্স-রে করা হলে খালি পেটে করার প্রয়োজন হতে পারে। 
  * অলংকার, তাবিজ বা এ জাতীয় ধাতক পদার্থ এক্স-রে ইমেজ তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করে। কাজেই এক্স-        রে করার সময় এগুলো পরা যায় না।
  * সূতি কাপড় পরে এক্স-রে করতে হয়।
  * এক্স-রে চিত্র নেবার সময় শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ রাখতে বলা হতে পারে। এছাড়া এ সময় নড়াচড়া করা যায়      না।
  * গর্ভাবস্থায় এক্স-রে ক্ষতিকর হতে পারে। আগে থেকে বিষয়টি চিকিৎসককে জানানো উচিত।

ঝুঁকি
এক্স-রে পুরোপুরি ঝুঁকিমুক্ত পরীক্ষা নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে শরীর নিজে থেকেই এক্স-রে জনিত ক্ষতি পুষিয়ে নয়। অতিরিক্ত মাত্রায় এক্স-রে -এর কারণে ত্বকে ক্যান্সার হতে পরে, গর্ভের ভ্রুণের ক্ষতি হতে পারে, ডিম্বাশয় বা শুক্রাশয়ের ক্ষতি হতে পারে। কাজেই চিকিৎকের পরামর্শ ছাড়া এক্স-রে করা উচিত নয়।
রোগী এবং এক্স-রে কর্মী ছাড়া অন্যদের এক্স-রে কক্ষ থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়।


পোস্টটি ভাল লাগলে অবশ্যই শেয়ার করুন :
[পোস্টটি ভাল লাগলে অবশ্যই কমেন্ট বা শেয়ার করুন , শেয়ার বা কমেন্ট দিলে আমাদের উৎসাহ বারে, তাই অবশ্যই শেয়ার করুন । ]