কয়েকটি সহজ উপায়ে অ্যাজমার প্রকোপ কমিয়ে আনুন
অ্যাজমায় আক্রান্ত ব্যক্তির অ্যাটাক তখনই হতে দেখা যায়
যখন কোনো কারণে তার ফুসফুসে বাতাস ঠিকভাবে সরবরাহ হতে পারে না। অ্যালার্জি,
বায়ুদূষণ,
ধুলাবালি
বা ফুসফুসে কোনো ইনফেকশনের কারণে অ্যাজমা অ্যাটাক হতে পারে আর এর ফলে
দেখা দিতে পারে কাশি, শ্বাসকষ্ট এবং বুক ভারী হয়ে থাকার অনুভূতি।
অ্যাজমার অনেক মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট থাকলেও এমন কিছু ঘরোয়া
প্রতিকার আছে যাতে এর প্রকোপ কমিয়ে আনতে পারবেন আপনি নিজেই।
১) আদা:
অ্যাজমার বিভিন্ন ওষুধ যেভাবে শ্বাসযন্ত্রের পেশি শিথিল করে
কষ্ট কমিয়ে দেয় তেমনি প্রভাব রাখতে পারে আদা। আদা ব্যবহার
করে বেশ কয়েক ধরনের প্রতিকার তৈরি করা যেতে পারে।
- সমপরিমাণ আদার রস, ডালিমের রস এবং মধু মিশিয়ে নিন। দিনে দুই থেকে তিনবার এক টেবিল চামচ করে এই মিশ্রণ পান করুন।
- দেড় কাপ পানিতে এক চা চামচ আদা বাটা মিশিয়ে নিন। ঘুমাতে যাবার আগে এই মিশ্রণ এক টেবিল চামচ করে পান করুন।
- এক ইঞ্চি আদা কুচি করে এক হাঁড়ি ফুটন্ত পানিতে দিন। পাঁচ মিনিট রেখে এই মিশ্রণ ঠাণ্ডা করে পান করুন।
- এছাড়াও লবন দিয়ে কাঁচা আদা খেতে পারেন।
২) সর্ষের তেল:
অ্যাজমা অ্যাটাক হলে সর্ষের তেল মালিশ করাটা বেশ
উপকারী। এর জন্য অল্প
একটু কর্পূর দিয়ে সর্ষের তেল গরম করে নিতে হবে, এরপর তাপমাত্রা কুসুম গরম হয়ে
আসলে তা রোগীর বুক ও পিঠে মালিশ করতে হবে। দিনে কয়েকবার
মালিশ করা হলে কষ্ট কমে আসবে।
৩) ডুমুর
শ্বাসকষ্ট কমানো এবং শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্য
ভালো রাখার ক্ষেত্রে ডুমুরের প্রভাব অতুলনীয়। এর জন্য সারা
রাত তিনটি
শুকনো ডুমুর এক বাটি পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে ওই
পানি খালি পেটে
পান করতে হবে এবং খেতে হবে ওই তিনটি ডুমুর। মাস দুয়েক এই অভ্যাস বজায় রাখলে
অ্যাজমার প্রকোপ নিজ থেকেই কমে আসবে।
৪) রসুন
ফুসফুসে জমে থাকা কফ দূর করে এবং অ্যাজমার কষ্ট দ্রুত কমায়
রসুন।
- ১০-১৫ টি রসুনের কোয়া ফুটিয়ে নিন আধা কাপ দুধে। দিনে একবার এই মিশ্রণ পান করুন।
- রসুন দিয়ে চা তৈরি করেও পান করতে পারেন। এর জন্য এক পাত্র ফুটন্ত পানিতে ফেলে দিন ২-৩ টি রসুনের কোয়া এবং ৫ মিনিট সেভাবেই রেখে দিন। তাপমাত্রা কমে এলে পান করুন।
৫) কফি
কফিতে থাকা ক্যাফেইন অ্যাজমার কষ্ট কমাতে সহায়ক। যত কড়া কফি
পান করবেন তত দ্রুত সুফল পাওয়া যাবে। তবে দিনে তিন কাপের বেশি কফি পান করবেন না।
৬) ইউক্যালিপটাস তেল
এতে থাকে ইউক্যালিপটল নামের এক রাসায়নিক যা কফ কমাতে
সাহায্য করে। একটি
টাওয়েলে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল নিয়ে ঘুমানোর সময়ে তা আপনার শিয়রে রাখতে পারেন।
ফলে আপনার নিঃশ্বাসের সাথে এটি শরীরে প্রবেশ করবে
এবং ঘুমের সময়ে শ্বাসকষ্ট হবে না। এছাড়াও একটি পাত্রে ফুটন্ত পানি নিয়ে তাতে ২-৩ ফোঁটা
ইউক্যালিপটাস তেল নিয়ে নিঃশ্বাসের সাথে এই বাষ্প গ্রহণ করতে পারেন। এতে ফলাফল
পাবেন দ্রুত।
ভাল লাগলে পোস্ট টি অবশ্যই শেয়ার করুন :
[ ভাল লাগলে পোস্ট টি
অবশ্যই কমেন্ট বা শেয়ার
করুন , শেয়ার বা কমেন্ট দিলে
আমাদের উৎসাহ বারে, তাই অবশ্যই শেয়ার করুন । ]
No comments:
Post a Comment