Saturday, April 25, 2015

নিয়মিত গ্রিন-টি পানের উপকারিতা



নিয়মিত গ্রিন-টি পানের উপকারিতা 

গ্রিন টির উৎপত্তি স্থল চীন স্বাস্থ্যবিষয়ক কিছু ওয়েবসাইটে জানানো হয়, ওষুধ হিসেবে গ্রিন টি হাজার বছর ধরে ব্যবহৃত হচ্ছে। সাধারণ চা আর গ্রিন টি মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে প্রক্রিয়াজতকরণে। অন্যান্য চা তৈরি করতেফারমেনটেইশনবা গাঁজন প্রক্রিয়া চালানো হয়ে, গ্রিন টি ক্ষেত্রে তা করা হয় না।

ফলে অন্যান্য চা থেকে গ্রিন টিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান পলি-ফেনলস বেশি থাকে। তাই অন্যান্য চা থেকে গ্রিন টি উপকারিতা বেশি।চা গাছের সবুজ পাতাই মুলত গ্রীন টি৷এই চায়ে রয়েছে ভিটামিন , ওসি৷ এছাড়াও রয়েছে ক্যালমিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম বিভিন্ন মিনারেল৷

আসুন জানা যাক গ্রীন টিয়ের বিস্ময়কর উপকারিতা সম্পর্কে

ওজন নিয়ন্ত্রনঃ
গ্রিন টি হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। গ্রিন টি শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে৷প্রতিদিন কমপক্ষে কাপ সবুজ চা খেলে অতিরিক্ত ৬৭ ক্যালোরি পোড়ানো যায়৷

যান্টি ভাইরাল অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়ালঃ
চায়ের ক্যাটেকাইন উপাদান অ্যান্টি ভাইরাল অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল হিসেবে বেশ কার্যকর। ফলে ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে ক্যান্সার পর্যন্ত সব রকমের রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে অনেক রোগ বিস্তারেও বাধা দেয় গ্রিন টি

রক্ত চাপঃ
নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমে যায়

ডায়বেটিসঃ
খাওয়ার পর রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে, যা প্রত্যক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করে গ্রিণ টি। ফলে দেহে অতিরিক্ত চর্বি জমতে পারে না

হৃদরোগঃ
বিজ্ঞানীদের মতে, গ্রিন টি শরীরের প্রতিটি শিরায় কাজ করে। ফলে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে। তাই কোনো কারণে রক্ত চাপে পরিবর্তন হলেও কোন ধরনের ক্ষতি করে না। তাছাড়া এই চা রক্ত জমাট বাধতে দেয় না। ফলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভবনা অনেক কমে যায়

খাদ্যনালীর ক্যন্সারঃ
গ্রিন টি খাদ্যনালীর ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এছাড়াও ভালো কোষগুলোর কোনো ক্ষতি না করে সার্বিকভাবে ক্যান্সারের কোষ নির্মূল করে
কোলেস্টেরল
গ্রিন টি শরীরের ক্ষতিকর কলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় উপকারী কোলেস্টেরলের পরিমাণও বাড়ায়

ত্বকের যত্নঃ
মুখে বয়সের ছাপ বলিরেখা দূর করতে গ্রিন টি জুড়ি নেই। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামাটরি উপাদান ত্বকে বলি রেখা পড়তে দেয় না। তাছাড়া এটি ত্বকের রোদে পোড়াভাব কমাতে ব্ল্যাক হেডস দূর করতে সাহায্য করে

দাঁতের সুস্থতাঃ
গ্রিন টিক্যাটেকাইননামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মুখের ভিতরের বিভিন্ন ব্যকটেরিয়া ভাইরাস ধ্বংস করে। যা গলার ইনফেকশনসহ দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা কমিয়ে আনে

হতাশা থেকে মুক্তিঃ
প্রকৃতিকভাবেইথিয়ানিননামের অ্যামাইনো এসিড চা পাতায় পাওয়া যায়। এই উপাদান দুশ্চিন্তা হতাশা কমাতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে অবসাদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়ঃ
ক্যান্সারের জন্য দায়ী কোষ জন্মাতে বাধা দেয় গ্রিন টি, পাশাপাশি উপকারী কোষকে উজ্জীবিত করে।
তবে গ্রিন টি পানের ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয়ে সতর্ক থাকুন৷যেমন,
. খালি পেটে কখনই গ্রিন টি খাবেন না৷ভরা পেটে এই চা পান করবেন৷
. খাওয়ার পর নির্ধারিত বিরতির পর গ্রিন টি পান করুন৷
. রাত ৮টার পর গ্রিন টি পান করবেন না৷অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর হলেও এই চায়ে ক্যাফেইনের মতো উপাদান থাকায় রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে৷
. গ্রিন টি পান করলে বেশী করে জল খাবেন কারন ক্যালোরি পোড়ানোর যে উপাদানগুলি আছে এই চায়ের মধ্যে আছে তাতে বেশী করে জল না খেলে হজমে সমস্যা হতে পারে৷

No comments:

Post a Comment