Wednesday, July 8, 2015

এক্স-রে

এক্স-রে


এক্স-রে কি?
এক্স-রে এক ধরনের তড়িৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ, যা সরলরেখা বা সোজা পথে গমন করে। সাধারণ আলোর জন্য অস্বচ্ছ পদার্থ যেমন কাঠ, পেশী, পোশাক, ইত্যাদির মধ্য দিয়ে এক্স-রে গমন করতে পারে। তবে ক্যান্সার কোষ, ধাতু, হাড় বা এ জাতীয় পদার্থের মধ্য দিয়ে এক্স-রে যেতে পারে না। এক্স-রে -এর এ ধর্মটিই ব্যবহার করা হয় চিকিৎসা বিজ্ঞানে। 
 
যেভাবে কাজ করে
এক্স-রে টিউব থেকে এক্স-রে নির্গত হয়। অপর প্রান্তে এক্স-রে ফিল্ম বা কম্পিউটারাইজড সেন্সর রাখা হয়। এ দুয়ের মাঝে রোগীকে রেখে এক্স-রে চিত্র নেয়া হয়।

 * হাড়, ধাতু বা পাথর জাতীয় বস্তু সাদা ছায়া তৈরি করে।
 * বায়ুপূর্ণ এলাকা কালো ছায়া তৈরি করে।
 * পেশী, চর্বি এবং তরল ধূসর ছায়া তৈরি করে।

ব্যবহার
সাধারণত দূর্ঘটনায় আঘাত পেলে হাড় ভেঙেছে কিনা বা কতটুকু ভেঙেছে সেটা নির্ণয়ে এক্স-রে করা হয়। এছাড়া ক্যান্সার নির্ণয়, পেটে পাথরের অবস্থান নির্ণয় ইত্যাদি ক্ষেত্রে এক্স-রে করা হয়।

প্রস্তুতি
  * শরীরের কোন অংশের এক্স-রে করা হবে তার ওপর নির্ভর করে রোগীকে এক্স-রে টেবিলে রাখা হয়।          পেটের এক্স-রে করা হলে খালি পেটে করার প্রয়োজন হতে পারে। 
  * অলংকার, তাবিজ বা এ জাতীয় ধাতক পদার্থ এক্স-রে ইমেজ তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করে। কাজেই এক্স-        রে করার সময় এগুলো পরা যায় না।
  * সূতি কাপড় পরে এক্স-রে করতে হয়।
  * এক্স-রে চিত্র নেবার সময় শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ রাখতে বলা হতে পারে। এছাড়া এ সময় নড়াচড়া করা যায়      না।
  * গর্ভাবস্থায় এক্স-রে ক্ষতিকর হতে পারে। আগে থেকে বিষয়টি চিকিৎসককে জানানো উচিত।

ঝুঁকি
এক্স-রে পুরোপুরি ঝুঁকিমুক্ত পরীক্ষা নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে শরীর নিজে থেকেই এক্স-রে জনিত ক্ষতি পুষিয়ে নয়। অতিরিক্ত মাত্রায় এক্স-রে -এর কারণে ত্বকে ক্যান্সার হতে পরে, গর্ভের ভ্রুণের ক্ষতি হতে পারে, ডিম্বাশয় বা শুক্রাশয়ের ক্ষতি হতে পারে। কাজেই চিকিৎকের পরামর্শ ছাড়া এক্স-রে করা উচিত নয়।
রোগী এবং এক্স-রে কর্মী ছাড়া অন্যদের এক্স-রে কক্ষ থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়।


পোস্টটি ভাল লাগলে অবশ্যই শেয়ার করুন :
[পোস্টটি ভাল লাগলে অবশ্যই কমেন্ট বা শেয়ার করুন , শেয়ার বা কমেন্ট দিলে আমাদের উৎসাহ বারে, তাই অবশ্যই শেয়ার করুন । ]

Friday, June 19, 2015

রক্তদান




রক্তদান
সুস্থ মানুষের কেজি প্রতি ৫০ মি.লি. রক্ত প্রয়োজন হয়কিন্তু গড়ে পুরুষের শরীরে কেজি প্রতি ৭৬ মি.লি. এবং নারীর ৬৬ মি.লি. রক্ত থাকেএই উদ্বৃত্ত রক্ত দান করলে কোন ক্ষতি হয় না, বরং তা অন্যের জীবন বাঁচাতে পারেপ্রাপ্তবয়স্ক যে কেউ তিন থেকে চার মাস অন্তর রক্ত দিতে পারেনউন্নত বিশ্বে চিকিৎসাক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় রক্ত স্বেচ্ছা সেবকদের কাছ থেকেই আসেএটা তুলনামূলকভাবে নিরাপদপেশাদার রক্তদাতার রক্তে একদিকে যেমন ঝুঁকি বেশি অন্যদিকে রক্তের মানও ভালো থাকে না

কেন রক্ত প্রয়োজন?
দেহের কোষগুলোয় অক্সিজেনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান পৌঁছে দেয়া, কার্বন ডাই অক্সাইডসহ অন্যান্য বর্জ অপসারণ, রোগজীবাণু ধ্বংস করা, শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখা, ইত্যাদি কাজে রক্ত অতি আবশ্যক

এখন পর্যন্ত কৃত্রিমভাবে রক্ত তৈরি করা যায় না, অন্য প্রাণীর রক্তও মানুষের শরীরে দেয়া যায় নামুমূর্ষু রোগীর জীবন বাঁচাতে রক্ত তাই এত প্রয়োজনীয়

বড় ধরনের অপারেশন বা দূর্ঘটনায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে কিংবা অগ্নিদগ্ধ রোগীর চিকিৎসায় রক্ত প্রয়োজন হতে পারেএছাড়া প্রসূতি ও নবজাতকের বিভিন্ন জটিলতায় রক্ত প্রয়োজন হতে পারেরক্তাল্পতা, ক্যান্সার, থ্যালাসেমিয়া, হিমোফিলিয়াসহ বিভিন্ন রোগে রক্ত দেয়া প্রয়োজন হয়

রক্ত দেয়ার উপকারিতা
রক্ত দেয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই শরীরে রক্তের পরিমাণ স্বাভাবিক হয়ে যায়অবশ্য লোহিত রক্ত কণিকার পরিমাণ স্বাভাবিক হতে আরও সময় লাগে

রক্ত দিলে হৃদরোগ, হার্ট এটাক, ক্যান্সার প্রভৃতি রোগের ঝুঁকি কমেএছাড়া রক্ত দেয়ার সময় দাতার রক্তচাপ, পালস ইত্যাদি দেখার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় স্ক্রিনিং করার কারণে রক্তদাতা নিজের সুস্থতা সম্পর্কে আশ্বস্ত হতে পারেন

যারা রক্ত দিতে পারেন
  • রক্তদাতার বয়স ১৮ থেকে ৬০ এর মধ্যে হতে হয়
  • ওজন অন্তত ৪৮ কেজি হতে হয়
  • রক্তদানের সময় রক্তদাতার শরীরের তাপমাত্রা ৯৯.৫ ফারেনহাইটের নিচে এবং নাড়ির গতি ৬০ থেকে ১০০ বার এর মধ্যে হতে হয়
  • ওষুধ ছাড়া সিস্টোলিক রক্তচাপ ১০০ এবং ১৪০ থেকে পারদ চাপ এবং ডায়স্টোলিক রক্তচাপ ৬০ থেকে ১০০ পারদ চাপের মধ্যে হওয়া প্রয়োজন
  • পুরুষের ক্ষেত্রে রক্তের হিমোগ্লোবিন ১২.৫ গ্রাম/১০০ এমএল এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ১১.৫ গ্রাম/১০০ এমএল হওয়া দরকার
  • রক্তদাতাকে শ্বাসযন্ত্রের রোগ এবং চর্মরোগ মুক্ত থাকতে হয়রক্তদাতার রক্ত পরিসঞ্চালন জনিত কোন রোগ আছে কিনা সেটাও দেখতে হয়
  • সিরিঞ্জের মাধ্যমে রক্ত গ্রহণকারীদের বাহুতে যে ধরনের স্কার মার্ক থাকে, তা আছে কিনা সেটা পরীক্ষা করা হয়
  • রক্ত দাতার রক্তে এইচআইভি, হেপাটাইটিস, সিফিলিস, ম্যালেরিয়া ইত্যাদি জীবাণু আছে কিনা পরীক্ষা করে নেয়া হয়

প্রাসঙ্গিক প্রতিবেদন
  • ব্লাড ব্যাংক
  • পুলিশ ব্লাড ব্যাংক
  • সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতি
  • রেড ক্রিসেন্ট ব্লাড ব্যাংক সোসাইটি
  • বাঁধন ব্লাড ব্যাংক
  • কোয়ান্টাম ব্লাড সেন্টার

পোস্টটি ভাল লাগলে অবশ্যই শেয়ার করুন :  
[পোস্টটি ভাল লাগলে অবশ্যই কমেন্ট বা শেয়ার করুন , শেয়ার বা কমেন্ট দিলে আমাদের উৎসাহ বারে, তাই অবশ্যই শেয়ার করুন । ]

Monday, June 15, 2015

কয়েকটি সহজ উপায়ে অ্যাজমার প্রকোপ কমিয়ে আনুন



কয়েকটি সহজ উপায়ে অ্যাজমার প্রকোপ কমিয়ে আনুন 

অ্যাজমায় আক্রান্ত ব্যক্তির অ্যাটাক তখনই হতে দেখা যায় যখন কোনো কারণে তার ফুসফুসে বাতাস ঠিকভাবে সরবরাহ হতে পারে নাঅ্যালার্জি, বায়ুদূষণ, ধুলাবালি বা ফুসফুসে কোনো ইনফেকশনের কারণে অ্যাজমা অ্যাটাক হতে পারে আর এর ফলে দেখা দিতে পারে কাশি, শ্বাসকষ্ট এবং বুক ভারী হয়ে থাকার অনুভূতি
অ্যাজমার অনেক মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট থাকলেও এমন কিছু ঘরোয়া প্রতিকার আছে যাতে এর প্রকোপ কমিয়ে আনতে পারবেন আপনি নিজেই

১) আদা:

অ্যাজমার বিভিন্ন ওষুধ যেভাবে শ্বাসযন্ত্রের পেশি শিথিল করে কষ্ট কমিয়ে দেয় তেমনি প্রভাব রাখতে পারে আদা আদা ব্যবহার করে বেশ কয়েক ধরনের প্রতিকার তৈরি করা যেতে পারে
  • সমপরিমাণ আদার রস, ডালিমের রস এবং মধু মিশিয়ে নিনদিনে দুই থেকে তিনবার এক টেবিল চামচ করে এই মিশ্রণ পান করুন
  • দেড় কাপ পানিতে এক চা চামচ আদা বাটা মিশিয়ে নিনঘুমাতে যাবার আগে এই মিশ্রণ এক টেবিল চামচ করে পান করুন
  • এক ইঞ্চি আদা কুচি করে এক হাঁড়ি ফুটন্ত পানিতে দিনপাঁচ মিনিট রেখে এই মিশ্রণ ঠাণ্ডা করে পান করুন
  • এছাড়াও লবন দিয়ে কাঁচা আদা খেতে পারেন

২) সর্ষের তেল:

অ্যাজমা অ্যাটাক হলে সর্ষের তেল মালিশ করাটা বেশ উপকারীএর জন্য অল্প একটু কর্পূর দিয়ে সর্ষের তেল গরম করে নিতে হবে, এরপর তাপমাত্রা কুসুম গরম হয়ে আসলে তা রোগীর বুক ও পিঠে মালিশ করতে হবেদিনে কয়েকবার মালিশ করা হলে কষ্ট কমে আসবে

৩) ডুমুর

শ্বাসকষ্ট কমানো এবং শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখার ক্ষেত্রে ডুমুরের প্রভাব অতুলনীয়এর জন্য সারা রাত তিনটি শুকনো ডুমুর এক বাটি পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবেসকালে ওই পানি খালি পেটে পান করতে হবে এবং খেতে হবে ওই তিনটি ডুমুরমাস দুয়েক এই অভ্যাস বজায় রাখলে অ্যাজমার প্রকোপ নিজ থেকেই কমে আসবে

৪) রসুন

ফুসফুসে জমে থাকা কফ দূর করে এবং অ্যাজমার কষ্ট দ্রুত কমায় রসুন
  • ১০-১৫ টি রসুনের কোয়া ফুটিয়ে নিন আধা কাপ দুধেদিনে একবার এই মিশ্রণ পান করুন
  • রসুন দিয়ে চা তৈরি করেও পান করতে পারেনএর জন্য এক পাত্র ফুটন্ত পানিতে ফেলে দিন ২-৩ টি রসুনের কোয়া এবং ৫ মিনিট সেভাবেই রেখে দিন তাপমাত্রা কমে এলে পান করুন

৫) কফি

কফিতে থাকা ক্যাফেইন অ্যাজমার কষ্ট কমাতে সহায়কযত কড়া কফি পান করবেন তত দ্রুত সুফল পাওয়া যাবেতবে দিনে তিন কাপের বেশি কফি পান করবেন না

৬) ইউক্যালিপটাস তেল

এতে থাকে ইউক্যালিপটল নামের এক রাসায়নিক যা কফ কমাতে সাহায্য করেএকটি টাওয়েলে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল নিয়ে ঘুমানোর সময়ে তা আপনার শিয়রে রাখতে পারেন
ফলে আপনার নিঃশ্বাসের সাথে এটি শরীরে প্রবেশ করবে এবং ঘুমের সময়ে শ্বাসকষ্ট হবে নাএছাড়াও একটি পাত্রে ফুটন্ত পানি নিয়ে তাতে ২-৩ ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল নিয়ে নিঃশ্বাসের সাথে এই বাষ্প গ্রহণ করতে পারেনএতে ফলাফল পাবেন দ্রুত

ভাল লাগলে পোস্ট টি অবশ্যই শেয়ার করুন :  
[ ভাল লাগলে পোস্ট টি অবশ্যই কমেন্ট বা শেয়ার করুন , শেয়ার বা কমেন্ট দিলে আমাদের উৎসাহ বারে, তাই অবশ্যই শেয়ার করুন । ]

Saturday, June 6, 2015

পেঁয়াজে অ্যাজমা প্রতিরোধ

পেঁয়াজে অ্যাজমা প্রতিরোধ 

খাবারের সঙ্গে পেঁয়াজ খাওয়া প্রথম শুরু হয় ইরান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান এসব অঞ্চলেঅবশ্য কয়েক হাজার বছর আগে চীনেও পেঁয়াজ খাওয়ার প্রচলন ছিলপ্রাচীন বেদ গ্রন্থে পেঁয়াজের কথা পাওয়া যায় প্রাচীন গ্রিসে অলিম্পিক খেলা শুরুর আগে ক্রীড়াবিদরা পেঁয়াজ গ্রহণ করতেন; পেঁয়াজের রস পান করতেন এবং পেঁয়াজের প্রলেপ গায়েও মাখতেন

এক কাপ পরিমাণ পেঁয়াজের টুকরো থেকে ৬৪ ক্যালরি, ১৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, দুই থেকে তিন গ্রাম ফাইবার, সাত গ্রাম চিনি, দুই গ্রাম প্রোটিন এবং দৈনন্দিন চাহিদার ১০ শতাংশ ভিটামিন-সি পাওয়া যায়এ ছাড়া সামান্য পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফলিক এসিড, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস পাওয়া যায়পেঁয়াজে বিভিন্ন সালফিউরিক উপাদান রয়েছে, যা ফ্লেবোনয়েড ও ফাইটো কেমিক্যালের উৎকৃষ্ট উৎস

পেঁয়াজ যেসব কাজ করে 
১। পেঁয়াজে এলিগো ফ্রুকটোজ নামে এক বিশেষ দ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে, যা অন্ত্রে গুড ব্যাকটেরিয়া উৎপাদনে সাহায্য করেএভাবে পেঁয়াজ পরিপাকে পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখেপেঁয়াজ ডায়রিয়া প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় সাহায্য করে

২। পেঁয়াজে বিদ্যমান ক্রমিয়াম রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করেঅতিরিক্ত ইনসুলিন উৎপাদনে পেঁয়াজের সালফারের ভূমিকা রয়েছে

৩। পেঁয়াজের মধ্যে অ্যান্টি-ক্যানসারের বৈশিষ্ট্য রয়েছেপেঁয়াজে থাকা ফাইটো কেমিক্যালসের জন্য এতে বিশেষ ধরনের মিষ্টতা ও সুগন্ধ তৈরি হয়

৪। ফ্লেবোনয়েড বিভিন্ন ফল ও সবজিতে রঞ্জক পদার্থের ভূমিকা পালন করে গবেষণা থেকে জানা যায়, ফ্লেবোনয়েড আলঝেইমার, পারকিনসন, হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস করে

৫। কুয়ারসেটিন নামে একটি বিশেষ ফ্লেবোনয়েড ক্যানসার প্রতিরোধে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করেএটি দেহের হিস্টামিন তৈরিতে বাধা দেয় ফলে অ্যালার্জিজনিত বিক্রিয়া হ্রাস পায়কুয়ারসেটিন শ্বাস-প্রশ্বাসে যুক্ত পেশিকে শিথিল করে অ্যাজমার লক্ষণ থেকে মুক্তি দেয়এভাবে পেঁয়াজ হৃদরোগ, টাইপ টু ডায়াবেটিস, চোখের ক্যাটারেক্টস, উচ্চ রক্তচাপ, হুপিং কফ, ব্রনকাইটিস ও ডিহাইড্রেশন ইত্যাদি রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়

৬। পেঁয়াজের ফলিক এসিড দেহে অতিমাত্রার হমোসিসটিন তৈরিতে বাধা প্রদান করেফলে ভালো অনুভূতির হরমোন উৎপাদন স্বাভাবিক রাখেঘুম ও ক্ষুধা বৃদ্ধির মাত্রা স্বাভাবিক রাখে

ভাল লাগলে পোস্ট টি অবশ্যই শেয়ার করুন :  
[ ভাল লাগলে পোস্ট টি অবশ্যই কমেন্ট বা শেয়ার করুন , শেয়ার বা কমেন্ট দিলে আমাদের উৎসাহ বারে, তাই অবশ্যই শেয়ার করুন । ]

Sunday, May 24, 2015

প্রতিদিন আপনাকে যেভাবে সুস্থ রাখবে এক গ্লাস লেবুর শরবত



প্রতিদিন আপনাকে যেভাবে সুস্থ রাখবে এক গ্লাস লেবুর শরবত

 চৈত্রের এই সময় দুপুরের কড়া রোদের হাত থেকে রক্ষা পেতে সকলেই খোঁজেন ঠাণ্ডা কোনো পানীয়আজকাল ঠাণ্ডা পানীয়ের নামে আমরা যে সকল জিনিস খাই তার বেশিরভাগই শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এইসকল পানীয়তে থাকে মারাত্মক প্রিজারভেটিভ এবং কার্বনডাইঅক্সাইড
এর চাইতে প্রাকৃতিক কিছুর ওপর ভরসা করাই কি উচিৎ নয়? কোনো ধরণের ক্ষতিকর কেমিক্যাল কিংবা কোনো প্রিজারভেটিভ ছাড়া পানীয় পান করা দেহের জন্য সব চাইতে ভালো এবং এজন্য লেবুর শরবতের চেয়ে ভালো আর কোনো কিছুই হতে পারে না
চৈত্রের তীব্র রোদে এক গ্লাস লেবুর শরবত ছাড়া আর কোন কিছুই মনে হয় প্রাণে এতোটা প্রশান্তি এনে দিতে পারে নাশুধু তাই নয় লেবুর শরবতরয়েছে আমাদের দেহকে মারাত্মক কিছু রোগের হাত থেকে রক্ষা করার অসাধারণ ক্ষমতাতবে লেবুর সরবতে যতোটা সম্ভব চিনি কম ব্যবহার করুন অথবা চিনি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন

হৃদপিণ্ডের সুস্থতায় লেবুর শরবত:

লেবুর শরবত মেদ কমাতে সাহায্য করেদেহের ফ্যাট দূর করতে সাহায্যকারী সকল খাবারের মধ্যে লেবু অন্যতমদেহের মেদ ঝড়তে সাহায্য করে লেবুপ্রতিদিন সকালে ১ গ্লাস লেবুর শরবত খেলে দেহের শিরা উপশিরায় জমে থাকা মেদ দূর হয়তাই আমরা কার্ডিওভ্যাস্কুলার সমস্যা থেকে রক্ষা পাইএবং আমাদের হৃদপিণ্ডও সুস্থ থাকে

ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণ করে লেবুর শরবত:

কম ক্যালরির লেবুর রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সিপ্রতিদিন অন্তত ১ গ্লাস লেবুর শরবত খেলে দেহে ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ হয়এতে করে ভিটামিন সি এর অভাবজনিত রোগ থেকে আমরা মুক্ত থাকবো

ক্যান্সার প্রতিরোধে লেবুর শরবত:

লেবুর শরবত ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করেএটি প্রায় ১২ ধরনের ক্যান্সার সারায়যার মধ্যে রয়েছে কোলন, ব্রেস্ট, প্রোটেস্ট, ফুসফুসের ক্যান্সার
লেবু অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি গুণ সম্পন্ন যা ক্যান্সার চিকিৎসায় ক্যামোথেরাপীর সময় ব্যবহৃত ঔধষ এডরিয়ামাইসিনএর থেকেও প্রায় ১০ হাজার গুন বেশি শক্তিশালীতাই ক্যান্সার থেকে দূরে থাকতে চাইলে প্রতিদিন ১ গ্লাস লেবুর শরবত খান

কিডনিতে পাথর জমতে বাঁধা দেয় লেবুর শরবত:

সম্প্রতি এক গবেষণা হতে জানা গেছে কমলা, লেবু ও টক জাতীয় ফলের রস কিডনিতে পাথর জমতে বাধা দেয়তাই প্রতিদিন সকালে ১ গ্লাস লেবুর শরবত পান করুনএতে কিডনি পরিষ্কার থাকবে

ভাল লাগলে পোস্ট টি অবশ্যই শেয়ার করুন :  
[ ভাল লাগলে পোস্ট টি অবশ্যই কমেন্ট বা শেয়ার করুন , শেয়ার বা কমেন্ট দিলে আমাদের উৎসাহ বারে, তাই অবশ্যই শেয়ার করুন । ]

Sunday, May 17, 2015

রক্তশূন্যতা নিয়ে যত মাথা ব্যথা



রক্তশূন্যতা নিয়ে যত মাথা  ব্যথা

 রক্তশূন্যতা নিয়ে যত ভ্রান্ত ধারণা শরীরে রক্ত কমে গেছে বা রক্ত নেইএমন কথা অনেকে বলে থাকেনআসলে রক্তশূন্যতা বা অ্যানিমিয়ায় শরীরে রক্ত কমে যায় না, বরং রক্তের একটি উপাদান হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যায়হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বয়স ও লিঙ্গ ভেদে ভিন্ন হয়ে থাকেপুরুষদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক মাত্রা ১৩ থেকে ১৭ গ্রাম/ডেসিলিটার এবং নারীর জন্য ১২ থেকে ১৫ গ্রাম/ডেসিলিটার

দুর্বল লাগা মানেই রক্তশূন্যতা:

অনেকে দুর্বল লাগলে না বুঝে আয়রন ট্যাবলেট খেয়ে থাকেনকারও কারও আবার ধারণা, শিরায় রক্ত না পাওয়ার কারণও বুঝি রক্তশূন্যতারক্তশূন্যতা হলে দুর্বলতা ছাড়াও মাথা ঘোরা, ক্লান্তি, ফ্যাকাসে ভাব, বুক ধড়ফড়, মাথাব্যথা, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি হতে পারেলক্ষ রাখবেন, দুর্বলতার আরও নানা কারণ থাকতে পারে, রক্তশূন্যতাই একমাত্র কারণ নয়

রক্তশূন্যতা মানেই লৌহের অভাব:

হিমোগ্লোবিন প্রস্তুতের জন্য শরীর লৌহ বা আয়রন ব্যবহার করে থাকেতাই আয়রনের ঘাটতি রক্তশূন্যতার একটি অন্যতম কারণতাই বলে রক্তশূন্যতা যে সব সময় আয়রনের অভাবেই হয়, তা নয়লোহিত কণিকার অকাল ক্ষয় বা কম তৈরি হওয়া থেকে রক্তশূন্যতা হতে পারেজন্মগত অস্বাভাবিক হিমোগ্লোবিন যেমন থ্যালাসেমিয়ার রোগীদের রক্তশূন্যতা থাকেকোনো কারণে রক্তক্ষরণ হলেও রক্তশূন্যতা হবেএই রক্তক্ষরণ অনেক সময় চোখে না-ও দেখা যেতে পারে, যেমন পেপটিক আলসার বা অন্ত্রের কোনো ঘা বা ক্যানসার থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে নীরবেএ ছাড়া দীর্ঘমেয়াদি রোগ যেমন টিবি, কিডনি ও যকৃতের জটিলতা, ভিটামিন বি১২ ও ফলিক অ্যাসিডের অভাব, থাইরয়েডের সমস্যা, অস্থিমজ্জার সমস্যা, কেমোথেরাপি, ক্যানসার ইত্যাদি নানা সমস্যায় রক্তশূন্যতা হয়তাই রক্তশূন্যতার সঠিক কারণটি নির্ণয় না করে শুধু আয়রন বড়ি খেয়ে লাভ না-ও হতে পারে, বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে যেমন থ্যালাসেমিয়ায় আয়রন বড়ি খাওয়া বিপজ্জনক

লৌহের ঘাটতিজনিত রক্তশূন্যতায়:

এটা ঠিক যে রক্তশূন্যতার সব ধরনের কারণের মধ্যে আমাদের দেশে আয়রন বা লৌহের ঘাটতি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণআর এই ঘাটতি যে সব সময় খাদ্যতালিকায় লৌহের অভাবে হয়, তা নয়শিশুদের কৃমি এ ধরনের রক্তশূন্যতার একটি বড় ঝুঁকি আমাদের দেশে শিশুর পুষ্টির এক-তৃতীয়াংশ কৃমি ধ্বংস করে ফেলেতাই শিশু ও বয়স্ক সবারই নিয়মিত কৃমি প্রতিরোধক ওষুধ সেবন করা উচিতমেয়েদের মাসিকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে আয়রনের ঘাটতি হয় সময় প্রচুর আয়রনসমৃদ্ধ খাবার ও প্রয়োজনে আয়রন ট্যাবলেট খেতে হবে পাতাবহুল সবুজ শাকসবজি, লাল মাংস, কলিজা, বীজজাতীয় খাদ্য ইত্যাদিতে আয়রন আছেঅতিরিক্ত চা, কফি, দুধ, অ্যান্টাসিড অন্ত্রে আয়রন শোষণে বাধা দেয় আয়রনসমৃদ্ধ খাবার বা বড়ি খাবার সময় এগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো
 
ভাল লাগলে পোস্ট টি অবশ্যই শেয়ার করুন :  
[ ভাল লাগলে পোস্ট টি অবশ্যই কমেন্ট বা শেয়ার করুন , শেয়ার বা কমেন্ট দিলে আমাদের উৎসাহ বারে, তাই অবশ্যই শেয়ার করুন । ]

Saturday, May 16, 2015

থানকুনি পাতা অনেক রোগের ডাক্তার




থানকুনি পাতা অনেক রোগের ডাক্তার 

গ্রামাঞ্চলে বাড়ির আশেপাশে, রাস্তার পাশে কিংবা ক্ষেতের আইলে ছোট ছোট তারার মত খাঁজকাটা এই পাতাগুলো দেখতে পাওয়া যায়অনেক অভাবি মানুষ ভাতের সাথে এই পাতাটিকে ভর্তা করে খায়আবার স্বাদের কারণে অনেক ধনীরাও এই পাতাটিকে ভর্তা করে খায়তবে সব অঞ্চলের মানুষ থানকুনি পাতা নামে এই পাতাটিকে নাও চিনতে পারেঅঞ্চলভেদে এই পাতাটিকে টেয়া, মানকি, তিতুরা, থানকুনি, আদামনি, ঢোলামানি, থুলকুড়ি, মানামানি , ধূলাবেগুন, আদাগুনগুনি নামে ডাকা হয়এই হলো থানকুনি পাতার প্রাথমিক পরিচিতি

বহু রোগের ডাক্তার এই পাতাটির ইংরেজি নাম Indian Pennywort, ল্যাটিন নাম  Centella asiatica, বৈজ্ঞানিক নাম Centella asiatica Urban এবং পরিবার Mackinlayaceae.

ছোট্ট এই গাছটির মূল, কান্ড ও পাতার উপকারিতা:

  • অল্প পরিমাণ আমগাছের ছাল, আনারসের কচি পাতা ১টি, কাঁচা হলুদের রস, ৪/৫ টি থানকুনি গাছ শিকড়সহ ভাল করে ধুয়ে একত্রে বেটে রস করে খালি পেটে খেলে পেটের পীড়া ভাল হয়ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এটা আরো বেশি কার্যকর
  • আধা কেজি দুধে ১ পোয়া মিশ্রি ও আধা পোয়া থানকুনি পাতার রস একত্রে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে ১ সপ্তাহ খেলে গ্যাস্ট্রিক ভাল হয়
  • বেগুন/পেঁপের সাথে থানকুনি পাতা মিশিয়ে শুকতা রান্না করে প্রতিদিন ১ মাস খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়
  • প্রতিদিন সকালে খালিপেটে ৪ চা চামচ থানকুনি পাতার রস ও ১ চা চামচ মধু/ মিশিয়ে ৭ দিন খেলে রক্ত দূষণ ভাল হয়
  • নিয়মিত থানকুনি পাতার রস খেলে ত্বকের সতেজতা বাড়ে
  • জ্বর ও আমাশয়ে রস খেলে উপকার হয়
  • মুখে ঘা হলে থানকুনি পাতা সিদ্ধ পানি দিয়ে কুলি করলে ঘা কমে যায়
  • চুল ঝরা কমাতে পুষ্টিকর ভিটামিনসমৃদ্ধ খাবারের পাশাপাশি ৫-৬ চামচ থানকুনি পাতার রস দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে চুলপড়া কমবে
  • বাচ্চাদের কথা পরিষ্কার না হলে এক চামচ থানকুনি পাতার রস গরম করে প্রতিদিন খাওয়ালে কথা স্পষ্ট হবে
  • ঠাণ্ডা লাগলে ২০-২৫ ফোঁটা থানকুনির রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন
  • প্রতিদিন সকালে থানকুনির রস ১ চামচ, ৫/৬ ফোঁটা হলুদের রস (বাচ্চাদের লিভারের সমস্যায়) সামান্য চিনি ও মধুসহ ১ মাস খেলে লিভারের সমস্যা ভাল হয়
     
উল্লেখ্য: ছোট্ট এই উদ্ভিদটি বাড়ির ছাদে কিংবা বারান্দায় টবেও চাষ করা যায়


ভাল লাগলে পোস্ট টি অবশ্যই শেয়ার করুন :

[ ভাল লাগলে পোস্ট টি অবশ্যই কমেন্ট বা শেয়ার করুন , শেয়ার বা কমেন্ট দিলে আমাদের উৎসাহ বারে, তাই অবশ্যই শেয়ার করুন । ]