Sunday, May 24, 2015

প্রতিদিন আপনাকে যেভাবে সুস্থ রাখবে এক গ্লাস লেবুর শরবত



প্রতিদিন আপনাকে যেভাবে সুস্থ রাখবে এক গ্লাস লেবুর শরবত

 চৈত্রের এই সময় দুপুরের কড়া রোদের হাত থেকে রক্ষা পেতে সকলেই খোঁজেন ঠাণ্ডা কোনো পানীয়আজকাল ঠাণ্ডা পানীয়ের নামে আমরা যে সকল জিনিস খাই তার বেশিরভাগই শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এইসকল পানীয়তে থাকে মারাত্মক প্রিজারভেটিভ এবং কার্বনডাইঅক্সাইড
এর চাইতে প্রাকৃতিক কিছুর ওপর ভরসা করাই কি উচিৎ নয়? কোনো ধরণের ক্ষতিকর কেমিক্যাল কিংবা কোনো প্রিজারভেটিভ ছাড়া পানীয় পান করা দেহের জন্য সব চাইতে ভালো এবং এজন্য লেবুর শরবতের চেয়ে ভালো আর কোনো কিছুই হতে পারে না
চৈত্রের তীব্র রোদে এক গ্লাস লেবুর শরবত ছাড়া আর কোন কিছুই মনে হয় প্রাণে এতোটা প্রশান্তি এনে দিতে পারে নাশুধু তাই নয় লেবুর শরবতরয়েছে আমাদের দেহকে মারাত্মক কিছু রোগের হাত থেকে রক্ষা করার অসাধারণ ক্ষমতাতবে লেবুর সরবতে যতোটা সম্ভব চিনি কম ব্যবহার করুন অথবা চিনি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন

হৃদপিণ্ডের সুস্থতায় লেবুর শরবত:

লেবুর শরবত মেদ কমাতে সাহায্য করেদেহের ফ্যাট দূর করতে সাহায্যকারী সকল খাবারের মধ্যে লেবু অন্যতমদেহের মেদ ঝড়তে সাহায্য করে লেবুপ্রতিদিন সকালে ১ গ্লাস লেবুর শরবত খেলে দেহের শিরা উপশিরায় জমে থাকা মেদ দূর হয়তাই আমরা কার্ডিওভ্যাস্কুলার সমস্যা থেকে রক্ষা পাইএবং আমাদের হৃদপিণ্ডও সুস্থ থাকে

ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণ করে লেবুর শরবত:

কম ক্যালরির লেবুর রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সিপ্রতিদিন অন্তত ১ গ্লাস লেবুর শরবত খেলে দেহে ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ হয়এতে করে ভিটামিন সি এর অভাবজনিত রোগ থেকে আমরা মুক্ত থাকবো

ক্যান্সার প্রতিরোধে লেবুর শরবত:

লেবুর শরবত ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করেএটি প্রায় ১২ ধরনের ক্যান্সার সারায়যার মধ্যে রয়েছে কোলন, ব্রেস্ট, প্রোটেস্ট, ফুসফুসের ক্যান্সার
লেবু অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি গুণ সম্পন্ন যা ক্যান্সার চিকিৎসায় ক্যামোথেরাপীর সময় ব্যবহৃত ঔধষ এডরিয়ামাইসিনএর থেকেও প্রায় ১০ হাজার গুন বেশি শক্তিশালীতাই ক্যান্সার থেকে দূরে থাকতে চাইলে প্রতিদিন ১ গ্লাস লেবুর শরবত খান

কিডনিতে পাথর জমতে বাঁধা দেয় লেবুর শরবত:

সম্প্রতি এক গবেষণা হতে জানা গেছে কমলা, লেবু ও টক জাতীয় ফলের রস কিডনিতে পাথর জমতে বাধা দেয়তাই প্রতিদিন সকালে ১ গ্লাস লেবুর শরবত পান করুনএতে কিডনি পরিষ্কার থাকবে

ভাল লাগলে পোস্ট টি অবশ্যই শেয়ার করুন :  
[ ভাল লাগলে পোস্ট টি অবশ্যই কমেন্ট বা শেয়ার করুন , শেয়ার বা কমেন্ট দিলে আমাদের উৎসাহ বারে, তাই অবশ্যই শেয়ার করুন । ]

Sunday, May 17, 2015

রক্তশূন্যতা নিয়ে যত মাথা ব্যথা



রক্তশূন্যতা নিয়ে যত মাথা  ব্যথা

 রক্তশূন্যতা নিয়ে যত ভ্রান্ত ধারণা শরীরে রক্ত কমে গেছে বা রক্ত নেইএমন কথা অনেকে বলে থাকেনআসলে রক্তশূন্যতা বা অ্যানিমিয়ায় শরীরে রক্ত কমে যায় না, বরং রক্তের একটি উপাদান হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যায়হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বয়স ও লিঙ্গ ভেদে ভিন্ন হয়ে থাকেপুরুষদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক মাত্রা ১৩ থেকে ১৭ গ্রাম/ডেসিলিটার এবং নারীর জন্য ১২ থেকে ১৫ গ্রাম/ডেসিলিটার

দুর্বল লাগা মানেই রক্তশূন্যতা:

অনেকে দুর্বল লাগলে না বুঝে আয়রন ট্যাবলেট খেয়ে থাকেনকারও কারও আবার ধারণা, শিরায় রক্ত না পাওয়ার কারণও বুঝি রক্তশূন্যতারক্তশূন্যতা হলে দুর্বলতা ছাড়াও মাথা ঘোরা, ক্লান্তি, ফ্যাকাসে ভাব, বুক ধড়ফড়, মাথাব্যথা, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি হতে পারেলক্ষ রাখবেন, দুর্বলতার আরও নানা কারণ থাকতে পারে, রক্তশূন্যতাই একমাত্র কারণ নয়

রক্তশূন্যতা মানেই লৌহের অভাব:

হিমোগ্লোবিন প্রস্তুতের জন্য শরীর লৌহ বা আয়রন ব্যবহার করে থাকেতাই আয়রনের ঘাটতি রক্তশূন্যতার একটি অন্যতম কারণতাই বলে রক্তশূন্যতা যে সব সময় আয়রনের অভাবেই হয়, তা নয়লোহিত কণিকার অকাল ক্ষয় বা কম তৈরি হওয়া থেকে রক্তশূন্যতা হতে পারেজন্মগত অস্বাভাবিক হিমোগ্লোবিন যেমন থ্যালাসেমিয়ার রোগীদের রক্তশূন্যতা থাকেকোনো কারণে রক্তক্ষরণ হলেও রক্তশূন্যতা হবেএই রক্তক্ষরণ অনেক সময় চোখে না-ও দেখা যেতে পারে, যেমন পেপটিক আলসার বা অন্ত্রের কোনো ঘা বা ক্যানসার থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে নীরবেএ ছাড়া দীর্ঘমেয়াদি রোগ যেমন টিবি, কিডনি ও যকৃতের জটিলতা, ভিটামিন বি১২ ও ফলিক অ্যাসিডের অভাব, থাইরয়েডের সমস্যা, অস্থিমজ্জার সমস্যা, কেমোথেরাপি, ক্যানসার ইত্যাদি নানা সমস্যায় রক্তশূন্যতা হয়তাই রক্তশূন্যতার সঠিক কারণটি নির্ণয় না করে শুধু আয়রন বড়ি খেয়ে লাভ না-ও হতে পারে, বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে যেমন থ্যালাসেমিয়ায় আয়রন বড়ি খাওয়া বিপজ্জনক

লৌহের ঘাটতিজনিত রক্তশূন্যতায়:

এটা ঠিক যে রক্তশূন্যতার সব ধরনের কারণের মধ্যে আমাদের দেশে আয়রন বা লৌহের ঘাটতি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণআর এই ঘাটতি যে সব সময় খাদ্যতালিকায় লৌহের অভাবে হয়, তা নয়শিশুদের কৃমি এ ধরনের রক্তশূন্যতার একটি বড় ঝুঁকি আমাদের দেশে শিশুর পুষ্টির এক-তৃতীয়াংশ কৃমি ধ্বংস করে ফেলেতাই শিশু ও বয়স্ক সবারই নিয়মিত কৃমি প্রতিরোধক ওষুধ সেবন করা উচিতমেয়েদের মাসিকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে আয়রনের ঘাটতি হয় সময় প্রচুর আয়রনসমৃদ্ধ খাবার ও প্রয়োজনে আয়রন ট্যাবলেট খেতে হবে পাতাবহুল সবুজ শাকসবজি, লাল মাংস, কলিজা, বীজজাতীয় খাদ্য ইত্যাদিতে আয়রন আছেঅতিরিক্ত চা, কফি, দুধ, অ্যান্টাসিড অন্ত্রে আয়রন শোষণে বাধা দেয় আয়রনসমৃদ্ধ খাবার বা বড়ি খাবার সময় এগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো
 
ভাল লাগলে পোস্ট টি অবশ্যই শেয়ার করুন :  
[ ভাল লাগলে পোস্ট টি অবশ্যই কমেন্ট বা শেয়ার করুন , শেয়ার বা কমেন্ট দিলে আমাদের উৎসাহ বারে, তাই অবশ্যই শেয়ার করুন । ]

Saturday, May 16, 2015

থানকুনি পাতা অনেক রোগের ডাক্তার




থানকুনি পাতা অনেক রোগের ডাক্তার 

গ্রামাঞ্চলে বাড়ির আশেপাশে, রাস্তার পাশে কিংবা ক্ষেতের আইলে ছোট ছোট তারার মত খাঁজকাটা এই পাতাগুলো দেখতে পাওয়া যায়অনেক অভাবি মানুষ ভাতের সাথে এই পাতাটিকে ভর্তা করে খায়আবার স্বাদের কারণে অনেক ধনীরাও এই পাতাটিকে ভর্তা করে খায়তবে সব অঞ্চলের মানুষ থানকুনি পাতা নামে এই পাতাটিকে নাও চিনতে পারেঅঞ্চলভেদে এই পাতাটিকে টেয়া, মানকি, তিতুরা, থানকুনি, আদামনি, ঢোলামানি, থুলকুড়ি, মানামানি , ধূলাবেগুন, আদাগুনগুনি নামে ডাকা হয়এই হলো থানকুনি পাতার প্রাথমিক পরিচিতি

বহু রোগের ডাক্তার এই পাতাটির ইংরেজি নাম Indian Pennywort, ল্যাটিন নাম  Centella asiatica, বৈজ্ঞানিক নাম Centella asiatica Urban এবং পরিবার Mackinlayaceae.

ছোট্ট এই গাছটির মূল, কান্ড ও পাতার উপকারিতা:

  • অল্প পরিমাণ আমগাছের ছাল, আনারসের কচি পাতা ১টি, কাঁচা হলুদের রস, ৪/৫ টি থানকুনি গাছ শিকড়সহ ভাল করে ধুয়ে একত্রে বেটে রস করে খালি পেটে খেলে পেটের পীড়া ভাল হয়ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এটা আরো বেশি কার্যকর
  • আধা কেজি দুধে ১ পোয়া মিশ্রি ও আধা পোয়া থানকুনি পাতার রস একত্রে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে ১ সপ্তাহ খেলে গ্যাস্ট্রিক ভাল হয়
  • বেগুন/পেঁপের সাথে থানকুনি পাতা মিশিয়ে শুকতা রান্না করে প্রতিদিন ১ মাস খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়
  • প্রতিদিন সকালে খালিপেটে ৪ চা চামচ থানকুনি পাতার রস ও ১ চা চামচ মধু/ মিশিয়ে ৭ দিন খেলে রক্ত দূষণ ভাল হয়
  • নিয়মিত থানকুনি পাতার রস খেলে ত্বকের সতেজতা বাড়ে
  • জ্বর ও আমাশয়ে রস খেলে উপকার হয়
  • মুখে ঘা হলে থানকুনি পাতা সিদ্ধ পানি দিয়ে কুলি করলে ঘা কমে যায়
  • চুল ঝরা কমাতে পুষ্টিকর ভিটামিনসমৃদ্ধ খাবারের পাশাপাশি ৫-৬ চামচ থানকুনি পাতার রস দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে চুলপড়া কমবে
  • বাচ্চাদের কথা পরিষ্কার না হলে এক চামচ থানকুনি পাতার রস গরম করে প্রতিদিন খাওয়ালে কথা স্পষ্ট হবে
  • ঠাণ্ডা লাগলে ২০-২৫ ফোঁটা থানকুনির রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন
  • প্রতিদিন সকালে থানকুনির রস ১ চামচ, ৫/৬ ফোঁটা হলুদের রস (বাচ্চাদের লিভারের সমস্যায়) সামান্য চিনি ও মধুসহ ১ মাস খেলে লিভারের সমস্যা ভাল হয়
     
উল্লেখ্য: ছোট্ট এই উদ্ভিদটি বাড়ির ছাদে কিংবা বারান্দায় টবেও চাষ করা যায়


ভাল লাগলে পোস্ট টি অবশ্যই শেয়ার করুন :

[ ভাল লাগলে পোস্ট টি অবশ্যই কমেন্ট বা শেয়ার করুন , শেয়ার বা কমেন্ট দিলে আমাদের উৎসাহ বারে, তাই অবশ্যই শেয়ার করুন । ]

Friday, May 8, 2015

বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে যে খাবার



বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে যে খাবার

সন্তান হওয়ার পর তাঁদের মেধাবিকাশ নিয়ে সকল বাবা-মাই খুব চিন্তিত থাকেনকিন্তু শুধু চিন্তা করলেই হবে না, বাচ্চার মেধাবিকাশের পাশাপাশি স্মৃতিশক্তিও যেন ভালো হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে

তাই জেনে রাখুন এমনই কিছু খাবার সম্পর্কে যা বাচ্চাদের মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য খুব উপকারী

ওটমিল
ব্রেকফাস্টে বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেনএতে স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকবে না

ড্রাই ফ্রুটস
ড্রাই ফ্রুটসে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে যা বাচ্চাকে সজাগ রাখতে সাহায্য করেবাচ্চার ব্রেকফাস্টে বা টিফিনে কিশমিশ, চেরি ইত্যাদি ড্রাই ফ্রুটস দিয়ে দিতে পারেন

মাছ
মাছে আছে প্রচুর পরিমাণে  ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড এবং ডিএইচএ।  বহু গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে খাবারে কম পরিমাণে ডিএইচএ থাকলে স্মৃতিশক্তি ও বুদ্ধিজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে

বাদাম
আমন্ড বা যেকোন বাদামে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিনতবে বিশেষ করে কাজু বাদামে থাকে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিডতাই সন্তানকে বাদাম খাওয়াতে ভুলবেন না

ডিম
ডিমে প্রচুর পরিমাণে কোলিন থাকে যা শরীরে নিউরোট্রান্সমিটার অ্যাসিটিলকোলিন তৈরি করতে সাহায্য করেশরীরে যদি সঠিক পরিমাণে অ্যাসিটিলকোলিন তৈরি না হয় তাহলে, কোনও কিছু মনে রাখতে অসুবিধা হতে পারেডিমে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড থাকে যা বাচ্চার মস্তিষ্কের পক্ষে খুবই ভলো

ফল
যে সমস্ত ফল এবং সবজিতে বেসি পরিমাণে  অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকেতা মস্তিষ্কের পক্ষে খুবই ভালোগবেষণায় দেখা   গিয়েছে যে  ব্লুবেরি ও স্ট্রবেরিতে থাকে  সবচেয়ে বেশি পরিমাণে  অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মনোযোগ এবং শর্ট টার্ম মেমরি ভালো রাখতে সাহায্য করে

দই
বিশেষজ্ঞদের মতে যে সমস্ত বাচ্চারা ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার তারা অনেক চটপট ও কোন নতুন জিনিস শিখে নিতে পারে ক্যালসিয়াম বাচ্চাদের হাড় মজবুত করে এবং অ্যাক্টিভ থাকতে সাহায্য করে বাচ্চাকে দিনে একবার দই খাওয়াতে চেষ্টা করুন

Thursday, May 7, 2015

নিমপাতার বহুগুণ ব্যবহার


নিমপাতাবহুগু ব্যবহার


নিমপাতা অনেক আগে থেকেই সর্বরোগের ঔষধ হিসেবে জনপ্রিয়। রূপচর্চায়ও নিমপাতার ব্যবহার ছিল অনেক প্রাচীনকাল থেকেই। এখনো বিভিন্ন ঔষধ এবং প্রসাধনীতে নিমপাতার ব্যবহার দেখতে পাওয়া যায়। তাই প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে রূপ সমস্যার সমাধানে এখনো অনেকেই ব্যবহার করেন এই বহুগুণের নিমপাতা

টি রূপ সমস্যা এবং এর ঝটপট সমাধানে নিমপাতার ব্যবহার

ত্বকের যেকোনো সমস্যা সমাধান :
নিমপাতার রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা ত্বকের যেকোনো সমস্যা সমাধানে বিশেষভাবে কার্যকরী। নিমপাতা বেটে দেহের যেকোনো অংশের ত্বকের সমস্যা সমাধানে কাজ লাগানো যায়। চামড়ার ইনফেকশন সহ সকল ধরণের সমস্যা দূর করতে নিমপাতার জুড়ি নেই।
 
 ব্রণ সমস্যা সমাধান :
লিটার পানিতে - মুঠো নিমপাতা দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। পানি সবুজ রঙ ধারণ করলে তা ছেঁকে ফ্রিজে রেখে বরফ জমিয়ে ফেলুন। প্রতিদিন সকাল -বিকাল এই বরফ মুখের ত্বকে ঘষে নিন। ব্রণের সমস্যা বেশ দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে


খুশকি সমস্যা সমাধান :
শীতকালে খুশকির সমস্যা যেন একটু বেশিই বেড়ে যায়। এই সমস্যারও সমাধান করবে নিমপাতা। নিমপাতা বেটে মাথার ত্বকে ভালো করে ঘষে লাগিয়ে নিন। - ঘণ্টা রেখে ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন চুল মাথার ত্বক। পরের দিন শ্যাম্পু করে নিন। এতে করে খুশকির সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন সেই সাথে নতুন করে চুলও গজাতে সহায়তা করবে এই নিমপাতা বাটা।


শীতে ত্বকের সুরক্ষায় :
যাদের শীতকালে ত্বকের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য নিমপাতা বেশ ভালো একটি ঔষধ। নিমপাতার তেল ব্যবহারে ত্বকের লাল রযাতাশ উঠার সমস্যা, চুলকোনি এবং ত্বকে ফুলে উঠার সমস্যা দূর করে। অলিভ অয়েলে নিমপাতা ফুটিয়ে নিন। এই তেল ব্যবহার করুন অ্যালার্জির সমস্যায়

ত্বকে বয়সের ছাপ দূর করতে :
নিমপাতায় রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড ভিটামিন যা ত্বকের ইলাস্টিসিটি ধরে রাখতে সহায়তা করে এবং ত্বককে টানটান রাখে। এতে করে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে অনেক ধীরে। এছাড়াও নিমের হাইঅ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের কোষের ক্ষতি রোধ করে এবং ক্ষতি পূরণেও ভূমিকা রাখে। এতে ত্বক বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পায়